Pages

Pages

Friday 6 September 2019

বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

                                 
CHILD RABI

THE RABINDRANATH
   
                                দ্বারকানাথের পুত্র দেবেন্দ্রনাথ ছিলেন ব্রাহ্মণধর্মে দীক্ষিত । উপনিষদের সুমহান আদর্শে নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন । তাঁর স্ত্রী সারদা দেবী ছিলেন 15 টি সন্তানের জননী । রবীন্দ্রনাথ তার চতুর্দশ সন্তান । তার জন্ম হয় ঠাকুরবাড়িতে 8 may 1861 সালে । ঠাকুরবাড়ি ছিল সেই যুগের সাহিত্য, সংস্কৃতির, শিল্পকলা, সংগীতের পীঠস্থান ।দেবেন্দ্রনাথের জ্যেষ্ঠ পুত্র দ্বিজেন্দ্রনাথ, মধ্যম সত্যেন্দ্রনাথ, পরবর্তী সন্তান হেমেন্দ্রনাথ, যতীন্দ্রনাথ সকলেই ছিলেন প্রতিভাবনা । রবীন্দ্রনাথের জীবনে এই চার ভাইয়ের প্রভাব পড়েছিল খুব বেশি ।  

                      শিশু রবীন্দ্রনাথের জীবন কেটে ছিল নিতান্তই সরল সাদাসিদে ভাবে ঝি-চাকরদের হেফাজতে । একটু বড় হতেই প্রথমে ভর্তি হলেন ওরিয়েন্টাল সেমিনারিতে । অল্প কিছুদিন পর সেখান থেকে গেলেন নরমাল স্কুলে । বাড়িতে ছেলেদের সর্ববিদ্যা পারদর্শী করার জন্য বিচিত্র শিক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল । ভোরবেলায় পালোয়ানের কাছে কুস্তি শেখা, তারপর গৃহশিক্ষকের কাছে বাংলা, অংক, ভূগোল, ইতিহাস পড়া । তারপর স্কুল ছুটির পর ইংরেজি পড়া, ছবি আঁকা ও জিমন্যাস্টিক । রবিবার সকালে বিজ্ঞান পড়া । 11 বছর বয়সে প্রথম মুক্তির স্বাদ পেলেন রবীন্দ্রনাথ । পিতা দেবেন্দ্রনাথের সাথে শান্তিনিকেতনে এলেন 1873 সালে । বোলপুর তখন নিত্যান্ত এক গ্রাম । সেই প্রথম প্রকৃতির সাথে পরিচয় হলো । এখানেই বালক কবির কাব্য রচনার সূত্রপাত । বোলপুর থেকে হিমালয়, চারমাস পশ্চিমের ভ্রমণ শেষ করে কলকাতায় ফিরে এলেন রবীন্দ্রনাথ ।

                   স্কুল ভালো লাগে না । বাড়িতেই শিক্ষক স্থির হলো । পড়াশোনা আর কবিতা লেখা । 13 বছর 8 মাস বয়সে অমৃতবাজার পত্রিকায় প্রথম কবিতা ছাপা হলো, "হিন্দুমেলার উপহার"

                  1877 সালে দ্বিজেন্দ্রনাথ এর সম্পাদনায় ভারতী পত্রিকা বের হলো । নিয়মিত লিখে চলেন রবীন্দ্রনাথ । 16 বছর বয়সে লিখলেন "ভানুসিংহের পদাবলী" । ধীরে ধীরে কৈশোরে উত্তীর্ণ হলো রবীন্দ্রনাথ ।অভিভাবকদের সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও স্কুলের গন্ডি উত্তীর্ণ হতে পারলেন না । স্থির হল বিলেতে গিয়ে ব্যারিস্টার হবেন । সত্যেন্দ্রনাথের সাথে লন্ডনে গিয়ে প্রথমে পাবলিক স্কুল তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন । কিন্তু পড়াশোনায় মন নেই, বেশিরভাগ সময়কাটে সাহিত্যচর্চা আর নাচে গানে । দেড় বছর বিলেতে কাটালেন । যে উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন তার  কিছুই হলো না । দেবেন্দ্রনাথের নির্দেশে দেশে ফিরে এলেন । তখন তিনি 19 বছরের এক তরুণ । যুবক কবির মন তখন নতুন কিছু সৃষ্টির জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছে । লিখলেন গীতিনাট্য "বাল্মিকী-প্রতিভা" - কবি প্রতিভার শ্রম সার্থক প্রয়াস যা আজও সমান জনপ্রিয় । তরুণ কবির হাতে ঝরনাধারার মতো কবিতা রচিত হতে থাকে । প্রকাশিত হল "ভগ্নহৃদয়" "রুদ্রচন্ড" কবি প্রতিভার পূর্ণ প্রকাশ না ঘটলেও সেই সময়ে কাব্য দুটি অসম্ভব জনপ্রিয় হয়েছিল । রবীন্দ্রনাথের ভাই জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ও ভাবি কাঁদম্বি দেবী তখন ছিলেন চন্দননগরে । কবি গেলেন তাদের কাছে । বাড়ির পাশে গঙ্গা ।
এখানে বসেই রবীন্দ্রনাথ লিখলেন "বউঠাকুরানীর হাট" তার প্রথম উপন্যাস, প্রতাপদিত্যের জীবন অবলম্বনে এর কাহিনী গড়ে উঠেছে । "বউঠাকুরানীর হাট" ধারাবাহিকভাবে 'ভারতী' পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । চন্দননগর থেকে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ এসে বাসা বাঁধলেন সদর স্ট্রিটের বাসা বাড়িতে । এখানে কবির জীবনে ঘটল এক নতুন উপলব্ধি । এই অপূর্ব অনুভূতির মধ্যে দিয়ে জন্ম হলো কবির অন্তস্তি কাব্যসত্তার । সেইদিনই কবি লিখলেন তার বিখ্যাত কবিতা "নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ" । 

                        1883 সালে 9 ডিসেম্বর, রবীন্দ্রনাথের বিবাহ হলো ঠাকুরবাড়ির এক কর্মচারীর কন্যার সাথে । 12 বছর বয়স । বিয়ের আগে নাম ছিল ভবতারিণী,নতুন নাম হল মৃণালিনী ।
WITH HIS MARINALINI


                          ঠাকুরবাড়ি শুধু যে বাংলা সংস্কৃতি জগতের ক্ষেত্রে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিল তাই নয়, আর্থিক দিক থেকেও ছিল অন্যতম ধনী । পূর্ববঙ্গ উত্তরবঙ্গে ছিল বিস্তৃত জমিদারি । সব ভার এসে পড়ল রবীন্দ্রনাথের উপর । বাংলা গ্রাম,গঞ্জের,নদীপথে ঘুরতে ঘুরতে রবীন্দ্রনাথ যে বিপুল অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন তা তার সাহিত্যকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল ।
                            বিভিন্ন সময়ে লেখা কবিতা গুলি নিয়ে প্রকাশিত হল "মানসী" । এতে কবি প্রতিভার শুধু যে পূরণ প্রকাশ ঘটেছে তাই নয়,বাংলা কাব্য জগতে এ এক নতুন সংযোজন । বন্ধু শ্রী শচীন্দ্রা  প্রকাশ করলেন নতুন একটি পত্রিকা 'হিতবাদী' । রবীন্দ্রনাথ হলেন এর সাহিত্য বিভাগের সম্পাদক । সেই সময় জমিদারির কাজে নিয়মিত যেতে হত শিয়ালদহে । সেখানে ঘুরে বেড়ান গ্রামে গ্রামে । সেখানকার ছোট ছোট সুখ-দুঃখের আলোয় জন্ম নিতে থাকে একের পর এক ছোটগল্প "দেনাপাওনা"  "গিন্নি"  "পোস্টমাস্টার"  "ব্যবধান"  "রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা" প্রতিটি গল্প প্রকাশিত হয় 'হিতবাদীতে' । কিন্তু কয়েক মাস পরেই হিতবাদীর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেল আর ভাতৃষ্পুত্রেরা একটি পত্রিকা বের করল 'সাধনা' । রবীন্দ্রনাথের গল্পের জোয়ার বইতে শুরু হলো । প্রথম গল্প বার হলো "খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন", তারপর সম্পত্তি সমর্পণ, কঙ্কাল, জীবিত ও মৃত, স্বর্ণমৃগ, জয় পরাজয়, দালিয়া প্রতিটি গল্পই বিয়োগান্ত । নিজের দেশ ও দেশবাসীর প্রতি ছিল তাঁর গভীর শ্রদ্ধা । ভারতে ইংরেজ শাসনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করে লিখেছিলেন বেশকিছু প্রবন্ধ, "ইংরেজ ও ভারতবাসী" "ইংরেজের আতঙ্ক" "সুবিচারের অধিকার" "রাজা ও প্রজা" । 

                            1894 সালে প্রতিষ্ঠিত হল বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ ।প্রতিষ্ঠা থেকে এর সাথে গভীরভাবে যুক্ত ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর উদ্যোগে বাংলাদেশের ছড়া সংগ্রহের কাজ শুরু  হয় । দক্ষিণারঞ্জন রচনা করলেন ঠাকুরমার ঝুলি । পরের বছর প্রকাশিত হল "চিত্রা" আর "চৈতালি" । চিত্রায় কবি স্বপ্নলোক থেকে বাস্তব জীবনের পটভূমিতে নেমে এসেছেন । সংকলিত হয়েছে কবির কিছু অবিস্মরণীয় সৃষ্টি ।"এবার ফিরাও মোরে পূর্ণিমা, স্বর্গহাতে বিদায় ঊর্বশী, ব্রাহ্মণ । এছাড়া তার দুটি জনপ্রিয় কবিতা "পুরাতন ভৃত্য""দুই বিঘা জমি " তে অবহেলিত নির্যাতিত মানুষের প্রতি ফুটে উঠেছে গভীর সমবেদনা ।

                             কবিতা আর গানের পাশাপাশি লিখতে থাকেন একের পর এক কাব্যনাটক । বহুদিন পূর্বে লিখেছিলেন প্রকৃতির প্রতিশোধ, চিত্রাঙ্গদা, বিদায়, অভিশাপ, মালিনী । এবার লিখলেন গান্ধারীর আবেদন, সতী, নরকবাস, লক্ষ্মীর পরীক্ষা । কবিতা আর গানের জগতে থাকতে মন যেন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছিল । লিখলেন হাস্যরসাত্মক রচনা "চিরকুমার সভা"
with Daughter-in-Law Pratima Devi

                            1901 সালে নতুন করে বঙ্গদর্শন প্রকাশিত হলো । রবীন্দ্রনাথ হলেন তার সম্পাদক । প্রবন্ধ কবিতার সাথে প্রকাশিত হল নতুন উপন্যাস "চোখের বালি" । শিলাইদহে  ছিলেন বহুদিন সপরিবারে । এরপর এলেন শান্তিনিকেতনে । এখানে প্রতিষ্ঠা করলেন আবাসিক বিদ্যালয় । স্ত্রী মৃণালিনী দেবী অসুস্থ হয়ে পড়লে, কলকাতায় নিয়ে আসা হয় । অল্প দিনের মধ্যেই তার মৃত্যু হল, তখন মৃণালিনী দেবীর বয়স ছিল 30 , রবীন্দ্রনাথের 41 । তাদের তিন কন্যা মাধুরীলতা, রেনুকা, মিরা আর দুই পুত্র রবীন্দ্রনাথ আর মনীন্দ্র । মৃণালিনী দেবীর মৃত্যুর অল্পদিন পরেই কন্যা রেণুকা অসুস্থ হয়ে পড়লে কবির আন্তরিক চেষ্টা সত্ত্বেও বাঁচানো গেল না । তখন রেণুকার বয়স মাত্র 13 ।

                             কবির ভাবনা বিকশিত হয়ে ওঠে শান্তিনিকেতন আর শিলাইদহে । তার সাথে গীতাঞ্জলির গান লেখা  । প্রবাসী পত্রিকার সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় এর অনুরোধে কবি লিখতে আরম্ভ করলেন "গোরা" উপন্যাস । তিন বছর ধরে গোরা প্রকাশিত হল  'প্রবাসীতে' । রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হিন্দু সমাজ, জীবন, তার দর্শীয় সংকীর্ণতা, জাতিভেদের ঊর্ধ্বে রবীন্দ্রনাথ এক সত্যের ইঙ্গিত করেছেন । 
AT SHANTINIKETAN

                             শান্তিনিকেতনে বসে কবি লিখেছেন ডাকঘর । বহুদিন দেশের বাইরে যাননি রবীন্দ্রনাথ । পুত্রবধূকে নিয়ে গেলেন বিলেতে । বিদেশে কবির সাথে পরিচয় হলো ইংরেজ কবি ইয়েটস এর সাথে । রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি অনুবাদ পড়ে মুগ্ধ তিনি এর ভূমিকা লিখলেন ।


                               ইন্ডিয়া সোসাইটি থেকে প্রকাশিত হল গীতাঞ্জলি ।ইংল্যান্ডের শিক্ষিত মানুষদের মধ্যে সাড়া পড়ে গেল । কাগজে কাগজে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা । কবি আমেরিকা হয়ে ফিরে এলেন কলকাতায় । সেখানকার পরিবেশ ভালো লাগেনা ফিরে এলেন শান্তিনিকেতনে । 15 নভেম্বর 1913 সালে,  সন্ধ্যেবেলায় খবর এল যে কবি সাহিত্যের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ।তিনি প্রথম প্রাচীনবাসী যিনি এই পুরস্কার পেলেন ।
                                 লিখলেন নতুন কবিতা ছবি । তারপর একের পর এক সৃষ্টি হতে থাকে বালাকার অবিস্মরণীয় সব কবিতা । সবুজের অভিযান, শঙ্খ, শাজাহান, ঝড়ের খেয়া, বলাকা
                       নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে সবুজপত্র । নতুন কোন পত্রিকা চালু হলেই তাকে ভরিয়ে তোলবার দায়িত্ব এসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপর ।


                        সবুজপত্রে একের পর এক প্রকাশিত হল ছোটগল্প এদের মধ্যে বিখ্যাত "হৈমন্তী" "বোষ্টমী" "স্ত্রীর পত্র"
THE GITANJALI
                         1915 সালে রবীন্দ্রনাথ সবুজপত্র লিখতে আরম্ভ করলেন "ঘরে-বাইরে" । 1911 সালের 13 এপ্রিল ইংরেজ সৈন্যরা জালিয়ানওয়ালাবাগে 379 জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করলে, তীব্র ঘৃণায় রবীন্দ্রনাথের সমস্ত অন্তর ভরে উঠল ।  তিনি বড়লাট লর্ড চেমসফোর্ড কে লেখা খোলা চিঠিতে সরকার প্রদত্ত নাইটহুড উপাধি ত্যাগ করার কথা ঘোষণা করলেন ।প্রৌঢ়ত্বে পা দিয়েছেন কবি । পরিণতির সাথে সাথে রচনায় ফুটে ওঠে পরিবর্তনের ছোঁয়া । লিখলেন "রক্তকরবী" "চণ্ডালিকা" । রাশিয়ায় গিয়ে ভালো লেগেছিল কবির সেখানকার মানুষ কর্মপ্রচেষ্টা । নতুন দেশ গড়ার উদ্যত কবিকে মুগ্ধ করেছিল । তিনি লিখলেন "রাশিয়ার চিঠি" । বৃদ্ধ বয়সে এসে কবি ডুবে থাকেন গান আর ছবি আঁকায় । ফাঁকে ফাঁকে লিখলেন "শ্যামলী", "প্রান্তিক", "সেঁজুতি", "আকাশ প্রদীপ", "ছড়ার উৎসব" নৃত্যনাট্য শ্যামা ।
                            কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবে ভাষণ দেওয়ার জন্য তিনি প্রথম বেসরকারি ব্যক্তি যিনি সম্মান পেলেন । চিরাচরিত প্রথা ভেঙে কবি বাংলায় বক্তৃতা দিলেন ।

                            1904 সালের 7 আগস্ট অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে শান্তিনিকেতনে কবিকে ডক্টর উপাধি দেওয়া হলো । ইংরেজরা দেরিতে হলেও শেষ পর্যন্ত সম্মান জানালো কবিকে ।

THE NOVEL
                             কবির স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছে,আগের মত সচ্ছল নয় ।তবুও তার মধ্যে লিখলেন তার বিখ্যাত গল্প "ল্যাবরেটরী" , "বদনাম" ।

                           বিছানায় শুয়ে শুয়ে বলে জান অন্যে লিখে নেয় । এ সময় লেখা কবিতাগুলো সংকলিত হয়ে প্রকাশিত হল "রোগশয্যায়" । কবি শান্তিনিকেতনে ছিলেন ।চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে আসা হল ।জোড়াসাঁকোর বাড়িতে কবির অপারেশন করা হলো ।

                         তার কিছুক্ষণ আগে লিখেছিলেন জীবনের শেষ কবিতা ---

" তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করে

বিচিত্র ছলনা জালে হে ছলনাময়ী

শেষ পুরস্কার নিয়ে যায় সে যে আপন ভান্ডারে 

অনায়াসে যে পেরেছে ছলনা সহিতে 

সে পায় তোমার হাতে শান্তি অক্ষয় 

অধিকার   "

                          অপারেশনের পর কবি জ্ঞান হারালেন । সেই জ্ঞান ফিরল না আর । রাখি পূর্ণিমার দিন দুপুর বেলায় 1941 সালের 07 আগস্ট একটি মহান জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটলো ।


credit-- internet(google,wiki,etc)

No comments:

Post a Comment