Pages

Pages

Saturday 7 September 2019

মহাত্মা গান্ধী

                       
                               গুজরাটের পুর বন্দরে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে গান্ধীজীর জন্ম, 1869 সালের 2 রা অক্টোবর । বাবার নাম করমচাঁদ গান্ধী । ছেলেবেলায় তার নাম ছিল মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী । গান্ধী ছেলেবেলায় বাবা-মায়ের সাথে পোরবন্দরে ছিলেন । সেখানকার স্থানীয় পাঠশালায় তার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হলেও যখন তার বয়স সাত বছর বাবারাজ কোর্টের বিচারপতি হয়ে গেলেন ফলে রাজকোট পাঠশালায় ভর্তি হতে হয় এবং পরে হাই স্কুলে ভর্তি হলেন । মাত্র 13 বছর বয়সে গান্ধীজীর বিবাহ হয়ে যায় । গান্ধীর কাছে সেই সময়ে স্ত্রী কন্তুরি বাই ছিলেন খেলার সাথী । কন্তুরিবাই ছিলেন সম্পূর্ণ নিরক্ষর । গান্ধীজির আন্তরিক চেষ্টায় সামান্য পড়াশোনা শিখেছিলেন । বিবাহের তিন বছরের মধ্যেই গান্ধীজীর পিতা মারা গেলেন । 1880 সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, স্থানীয় কলেজে ভর্তি হতে গিয়ে ব্যারিস্টারি পড়ার ইচ্ছা প্রবল হয়ে ওঠে । গান্ধীর পরিবারের সকলেই ছিলেন নিরামিষভোজী এবং রক্ষণশীল মনোভাবের । ছেলের বিলেতে গিয়ে বংশের নিয়ম-কানুন সম্পূর্ণভাবে ভুলে যাবে এই আশঙ্কায় কেউই তাকে প্রথমে যাবার অনুমতি দিতে চায় না । শেষ পর্যন্ত গান্ধীর বড় ভাই তাকে বিলাতে গিয়ে ব্যারিস্টারি পড়ার অনুমতি দিলেন । 1888 সালে তিনি ইংল্যান্ডের পথে রওনা হলেন । অল্পদিনের মধ্যেই তিনি নিজের অভ্যস্থ জীবন শুরু করলেন ।
                              1891 সালে গান্ধী ব্যারিস্টারি পাস করে ভারতে ফিরে এলেন । কয়েক মাস পরিবারের সকলের সাথে রাজকোটে থাকার পর বোম্বাই গেলেন । উদ্দেশ্য ব্যারিস্টারি করার । কিন্তু চার মাসের মধ্যে অর্থ উপার্জনে তেমন কোন সুবিধা করতে পারলেন না । এই সময় দক্ষিণ আফ্রিকার আব্দুল্লাহ কোম্পানির একটি মামলা পরিচালনা করার ব্যাপারে গান্ধীর ভাইয়ের কাছে সংবাদ পাঠালেন, তবে তার সমস্ত খরচ ছাড়াও মাসে 105 পাউন্ড করে দেবেন বলে কথা হয়েছিল । গান্ধী প্রস্তাব মেনে নিলেন এবং 1893 সালে এপ্রিল মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার পথে রওনা হলেন । এই সময় দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার একটি ঘোষণায় ভারতীয়দের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার হুকুম জারি করে । এই অবিচারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি । স্থির করলেন এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করবেন । গান্ধীর আন্দোলন সাধারণ ভারতীয়দের মধ্যে অভূতপূর্ব উদ্দীপনা সৃষ্টি করল এবং প্রায় 10 হাজার ভারতীয়দের সাক্ষ্য দেওয়া দরখাস্ত উপনিবেশ মন্ত্রী লর্ড রিপনের কাছে পাঠানো হলো । মূলত তারই চেষ্টায় 1894 সালে 22শে may গঠণ হলো ভারতীয় কংগ্রেস । গান্ধী হলেন তার প্রথম সম্পাদক ।
                               এরপর তিনি কয়েক মাসের জন্য ভারতবর্ষে ফিরে এসে নিজের পরিবারের লোকজনকে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় রওনা হলেন । দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভাল ও এরেনজিয়া প্রদেশের বুয়র সম্প্রদায় প্রভৃত্ব ছিল । এই বুয়র দের সাথে সোনার খনির কর্তৃত্ব নিয়ে 1899 সালে ইংরেজদের যুদ্ধ হলো ।গান্ধী তাদের সমর্থন না করে রাজত্ব প্রজা হিসেবে ইংরেজদের সেবা করার জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী তৈরি করলেন । এই বাহিনী আহত সৈন্যদের সেবা করে যথেষ্ট প্রশংসা অর্জন করেছিল । এই যুদ্ধের পরবর্তী কাল থেকে গান্ধীর জীবনে পরিবর্তন দেখা দিল । তিনি সরল সাদাসিধে জীবন যাপন করতে আরম্ভ করলেন ।
                             1906 সালে ট্রান্সভালে এক অর্ডিন্যান্স জারি করে  8 বছরের উপর সব ভারতীয় নারী পুরুষকে নাম রেজিস্ট্রি করার আদেশ দেওয়া হয় এবং সকলকে দশ আঙুলের ছাপ দিতে হবে বলে নতুন আইনে ঘোষণা করা হয় । এতে গান্ধীর তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ করলেন এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিকার করার জন্য ভারতীয়দের প্রথম সত্যাগ্রহ আন্দোলন আরম্ভ করলেন । গান্ধী আরো বহু ভারতীয়দের সাথে বন্দী হলেন । তার দু মাস কারাদণ্ড হলো । এই প্রথম কারাবরণ করলেন গান্ধী । 15 দিন পর সরকার কিছুটা নরম হলে গান্ধীর সাথে চুক্তি হলো যে ভারতীয়রা যদি স্বেচ্ছায় রেজিস্ট্রি করে তবে এই আইন তুলে নেওয়া হবে । অনেক সম্প্রদায় এই আইন মেনে নিলেও পাঠান রা তা মেনে নিলো না । তাদের ধারণা হলো গান্ধীজী বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন ।
                                গান্ধীর আন্তরিক চেষ্টা সত্ত্বেও ইংরেজরা তার কোনো দাবি মেনে নেয় নি । সত্যাগ্রহ আন্দোলন ক্রমশ বেড়ে চলে ।  গান্ধীর দক্ষিণ আফ্রিকার আন্দোলন অন্যদের হাতে তুলে দিয়ে প্রথমে ইংল্যান্ডে যান কিন্তু অল্প দিনের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় ভারতে ফিরে এলেন । 1915 সালে আমেদাবাদের কাছে কোচরার নামে এক জায়গায় সত্যাগ্রহ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করলেন  । সে সময় ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণ শ্রমিক আফ্রিকায় পাঠানো হতো । এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন গান্ধী । কিছুদিনের মধ্যেই এই আন্দোলন প্রবল আকার ধারণ করল । এর ফলশ্রুতিতে 1917 সালে 31 শে জুলাই ভারত থেকে শ্রমিক পাঠানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো ।
                               1918 সালে ইউরোপের বুকে চলছে বিশ্ব যুদ্ধ । ইংরেজরাও এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন । বড়লাট লর্ড চেমসফোর্ড  গান্ধী কে দিল্লিতে ডেকে পাঠালেন । তিনি এই যুদ্ধে ভারতীয় দের পক্ষ থেকে সমর্থনের জন্য অনুরোধ করলেন । গান্ধীর ধারণা হয়েছিল ভারতবর্ষে ইংরেজদের সাহায্য করলে কিছু কাজের হবে কিন্তু অচিরেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছিল । ইংরেজের  প্রতি তার ছিল এক মোহ যা থেকে তিনি কোনওদিনই মুক্তি হতে পারেননি । যুদ্ধের পর সকলে আশা করেছিল ভারতবাসী স্বায়ত্তশাসন পাবে কিন্তু তার পরিবর্তে বড়লাট রাওলাট আইন নামে এক দমনমূলক আইন পাশ করলেন । এতে বলা হলো কেউ সামান্য সরকারি-বিরোধী কাজকর্ম করলে তাকে বিনা বিচারে বন্দি করা হবে ।
                              13 এপ্রিল রামনবমীর মেলা উপলক্ষে জালিয়ানওয়ালাবাগ নামে এক জায়গায় কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হলো । জাইগাটার চারিদিকে উঁচু প্রাচীর বের হবার একমাত্র পথ ছিলো তার গেট । ডায়ারের নির্দেশ এই নিরীহ জনগণের ওপর নির্মম ভাবে গুলি চালানো হলে কয়েক হাজার মানুষ মারা যায় । এই হতাহতের ঘটনায় সমস্ত দেশ ক্ষোভে ফেটে পড়লো । বহু জায়গায় হিংসাত্মক আন্দোলন শুরু হল । গান্ধীর সত্যাগ্রহ সম্পূর্ণ ব্যর্থ হলেও তিনি নিজের ভুল স্বীকার করলেন ।
                             নাগপুরে কংগ্রেসের অধিবেশনে 1923 সালে গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলনের প্রস্তাব সমর্থিত করা হলো । গান্ধী ইংরেজ সরকারের সাথে সহযোগিতা করতে নিষেধ করলেন । তিনি বললেন সরকারি স্কুল-কলেজ, আইন-আদালতের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে । ব্যবস্থাপক সভা বর্জন করতে হবে । বিদেশি দ্রব্য বর্জন করতে হবে ।  স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য চরকা ও তাঁত প্রচলন করতে হবে । গান্ধীর ডাকে সাড়া পাওয়া গেল । দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদেশি কাপড় পড়ানো শুরু হলো । মানুষ নিজের হাতে বানানো কাপড় পরা শুরু করলো । 1922 সালে 8 ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশের চৌরিচৌরাই উত্তেজিত জনতা কিছু পুলিশকে হত্যা করল । এর প্রতিবাদে তিনি আন্দোলন বন্ধ করে দিলেন । গান্ধীকে গ্রেফতার করা হল । দেশব্যাপী আন্দোলনের দায় গান্ধী নিজেই স্বীকার করে নিলেন ।  বিচারে তাকে 46 বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো । জেলে তিনি চরকা কাটতে চাইলেন কিন্তু তাকে সে অনুমতি দেওয়া হল না । তিনি উপবাস শুরু করলেন  । শেষ পর্যন্ত তার সব দাবি মেনে নেওয়া হল । কিন্তু কিছুদিন পূর্বে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন । এই অসুস্থতার জন্য তাকে 1924 সালের 5 ফেব্রুয়ারি মুক্তি দেওয়া হল ।
                                  1925, 26,27 সালে গান্ধীজী কংগ্রেসের অধিবেশনে উপস্থিত থাকলেও তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন নি । সুভাষচন্দ্র ও জহরলাল নেহরু পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি তুলে একটি প্রস্তাব আনতে চান । তিনি চেয়েছিলেন আপোষ আলোচনার মাধ্যমে স্বায়ত্ব শাসন । তখন নিয়ম ছিল ভারতবাসী লবণ তৈরি করতে পারবে না । এমনকি যারা সমুদ্রের ধারে থাকে তারাও প্রস্তুত করতে পারবেনা । সকলকেই ব্রিটিশ সরকারের লবণ কিনতে হবে । অল্প দিনের মধ্যেই সমগ্র ভারত জুড়ে শুরু হলো লবণ আইন অমান্য আন্দোলন । গ্রাম-শহরে মানুষ লবণ তৈরি করতে আরম্ভ করল । হাজার হাজার মানুষকে বন্দি করা হলো । দেশের সাধারণ মানুষের উপর শুরু হলো অকথ্য অত্যাচার । সেইসময় কমবেশি প্রায় 1 লক্ষ সত্যাগ্রহী কারারুদ্ধ হল ।বাধ্য হয়ে লর্ড ডারউইন গান্ধীর সাথে বৈঠকে বসলেন এবং তাদের মধ্যে চুক্তি হলো, সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ লবণ তৈরি করতে পারবে এবং বিক্রি করতে পারবে । দেশের সমস্ত রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানানো হলো । 1930 সালের 15 আগস্ট তিনি যাত্রা করলেন ইংল্যান্ডের পথে । সেখানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্রাট পঞ্চম জর্জ এবং সম্রাজ্ঞীর সাথে আলোচনা করলেন । পরনে অর্ধনগ্ন ফকিরের মতন পোশাক । সেই সময় ইংল্যান্ডের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিরা গান্ধীর সাথে সাক্ষাৎ করতে আসতেন । এদের মধ্যে ছিলেন জর্জ বার্নার্ড শ, চার্লি চ্যাপলিন ইত্যাদি ।  সমস্ত আলাপ আলোচনা ব্যর্থ হলো ।
                                     গান্ধী যখন দেশে ফিরলেন দেশজুড়ে তখন চলছে নির্যাতন-নিপীড়ন । নেতৃস্থানীয় সকলেই বন্দী । বন্দী করা হলো গান্ধী কেউ । বুঝতে পেরেছিলেন কংগ্রেসের অধিকাংশ সদস্য তাকে শ্রদ্ধা করলেও তার নীতি আদর্শ মেনে চলে না । সত্যাগ্রহের আদর্শ অনুসরণ করে চলে না । তাই তিনি কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করলেন । 1946 সালে গান্ধীজী শান্তিনিকেতন এলেন । কবিগুরুর সাথে ছিল তার মধুর আন্তরিক সম্পর্ক । শান্তিনিকেতনের কাজে গান্ধীর নানাভাবে রবীন্দ্রনাথকে সাহায্য করেছেন । এই বছরে রামগড়ে নতুন কংগ্রেস অধিবেশন বসল । মাওলানা আবুল কালাম আজাদ সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন । অধিবেশনে ঘোষণা করা হলো একমাত্র পূর্ণ স্বাধীনতাই ভারতের কাম্য । গান্ধীকে পুনরায় দলের নেতা নির্বাচিত করা হল । শুরু হলো  সত্যাগ্রহ আন্দোলন । 1942 সালে 9 আগস্ট বোম্বায়েতে নিখিল ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতির সভায় 'ভারতছাড়ো' প্রস্তাব গৃহীত হলো । কংগ্রেসের সমস্ত নেতাকে গ্রেফতার করা হল । গান্ধী,সরোজিনী নাইডু,মহাদেব দেশাই মিরাবেন কে বন্দি করে আগা খাঁ  প্রসাদে রাখা হলো । সারা ভারত উত্তাল হয়ে উঠল । শুরু হলো গণবিক্ষোভ । পুলিশের হাতে প্রায় 1000 লোক মারা পড়ল । গান্ধীর শরীরের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকে । ইংরেজ সরকার অনুভব করতে পারল কারাগারে গান্ধীর কোন ক্ষতি হলে সমস্ত বিশ্বের কাছে তাদের কৈফত দিতে হবে । তাই বিনাশর্তে গান্ধীকে মুক্তি দেয়া হলো ।
                                   1945 সালে বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ইংল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনে শ্রমিকদল জয়ী হলো । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ইংল্যান্ড কে এত বিপর্যস্ত করে দিয়েছিল যে তারা উপলব্ধি করতে পারছিল ভারতের স্বাধীনতার দাবিকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব নয় । এদিকে দেশের মধ্যে হিন্দু মুসলমানের বিভেদ প্রবল আকার ধারণ করতে থাকে । শুরু হলো ভয়াবহ দাঙ্গা । পারস্পরিক এই দাঙ্গা বিভেদে গান্ধী গভীর দুঃখিত হয়েছিলেন । তিনি চেয়েছিলেন হিন্দু মুসলমানের ঐক্য, পরস্পরের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ নয় । কিন্তু তিনি বেদনাহত হলেন । দেশ বিভাগের মধ্য দিয়ে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করল ।
                                   দিল্লিতেও তখন নানান সমস্যা । এদিকে দাঙ্গাপীড়িত মানুষ, মন্ত্রিসভায় মতানৈক্য, খাদ্য বস্ত্রের সমস্যা ।  দিল্লিতে মুসলমানদের নিরাপত্তার জন্য তিনি অনশন করলেন এবং এই তার শেষ অনশন ।  সম্মিলিত সকলের অনুরোধে 18 জানুয়ারি অনশন ভঙ্গ করলেন । এই সময় গান্ধী নিয়মিত প্রার্থনা সভায় যোগ দিতেন । 30 শে জানুয়ারি তিনি প্রার্থনা সভায় যোগ দিতে চলেছেন এমন সময় ভিড় ঠেলে তার সামনে এগিয়ে এলো এক যুবক । সকলের মনে হলো সে বোধহয় গান্ধীকে প্রণাম করবে । কিন্তু কাছে এসে সামনে ঝুঁকে পড়ে পরপর তিনবার পিস্তলের গুলি চালাল । দুটি পেতে ও একটি বুকে বিধলো । সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন । তার মুখ থেকে শুধু দুটি শব্দ বের হলো "হে রাম" । তার পরেই সব নিস্তব্ধ হয়ে গেল । সমস্ত দেশ শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়লো, পরদিন যমুনার তীরে চিতার আগুনে তার প্রার্থীব দেহ বশ্মিভূত হয়ে গেল । দেশ-বিদেশ থেকে মানুষেরা শ্রদ্ধাঞ্জলি পাঠালেন । তাদের মধ্যে ছিলেন দেশবরেণ্য মানুষেরা । তাদের সকলের কাছে গান্ধী বিপন্ন মানব সভ্যতার সামনের একমাত্র আশার আলো ।




4 comments: