Pages

Pages

Thursday 5 September 2019

কাজী নজরুল ইসলাম

YOUNG NAJRUL



                             খুব দরিদ্র পরিবারের এই ছেলেটি বাংলা সাহিত্য জগতে অসাধারন বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন । কলমকে এক অনন্য অস্ত্র হিসেবে নিয়ে জুলুমের বিরুদ্ধে বহুদিন দিন লড়াই করে গেছেন । নিজের বৈপ্লবিক চিন্তা ধারার জন্য কারাগারের জীবনটাকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন ।
                           হ্যাঁ আমি সেই কবির কথায় বলছি, সেই সাহিত্যিক,সেই দেশের ছেলে দেশ প্রেমিক কাজী নজরুল ইসলামের কথায় বলছি । যার কবিতা, নাত, গজল,হামদ এবং ইসলামী গান, যা প্রতিটি বাঙালি মুসলিমের বুকে আগুন জ্বালিয়েছে। সত্যি তিনি ছিলেন শ্রমিক,কবি,সাহিত্যিক,সৈনিক,অন্যায়ের প্রতিবাদী এক অসাধারণ ব্যাক্তিত্বের অধিকারী ।

                           বাল্য কালে সবাই দুখু মিয়া নামেই ডাকতো।

                           1899 সালের 25 May , বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া নামক গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন । খুব সাধারন দুঃখ, দুর্দশার, অভাবের মধ্য দিয়ে কবির এক কাল কেটেছে । পিতা কাজী ফকির আহমেদ এবং মাতার নাম জাহেদা খাতুন । 'কাজী' হচ্ছে তাদের বংশের উপাধি । পিতা ছিলেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম এবং মাজারের মুত্তাওয়াল্লি, ফলে ছোট বেলা থেকেই ইসলামী চিন্তা ও ভাবধারার ভিতর দিয়ে বড়ো হন কবি কাজী নজরুল ইসলাম ।

                           বাল্যকালে মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় । মাত্র 10 বছর বয়েসে সুমধুর কণ্ঠে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করতে পারতেন । আসাধর প্রতিভার অধিকারী ছিলেন । ছোট বেলা থেকেই পবিত্র কুরআনের অর্থ ও মর্মবাণী শেখ শুরু করেন ।  বাংলা,আরবি ছাড়াও সেখানে ফার্সি ভাষাও শিখতেন ।
কিন্তু, হটাৎ করে তার পিতা মারা গেলে কবি ইয়াতিম হয়ে যান এবং অসময়ে শিক্ষার দরজা বন্ধ হয়ে যায় । যাবে না কেন , সংসারে নেমে আসে দুঃখ,দুর্দশা, অভাব, অনটন । তারপর তিনি  'লেটো' গানের দলে যোগ দিলে খুব অল্প সময়ে নাম অর্জন করেছিলেন ।
                                  তার অসাধারন প্রতিভার বলে, তিনি 'লেটো' দলের প্রধান নির্বাচিত হন । সেখান থেকেই তিনি বিভিন্য বই পত্র পড়ে সাহিত্যের জগতের সাথে পরিচিত হন । এই সময় তিনি কিছু কবিতা, পালা গান, ছড়া গান লিখে অল্প সময়ে নাম অর্জন করেন । এর পরে তিনি গ্রামের কিছু লোকের সাহায্যে রানীগঞ্জ এর শিয়ালসোল রাজ স্কুলে ভর্তি হন । শৈশব থেকেই কবি ছিলেন চঞ্চল স্বভাবের , তাই স্কুলের চার দেওয়াল আটকাতে পারে নি তাকে ।  একদিন হটাৎ স্কুল ছেড়ে পালিয়ে চলে গেলেন । কিন্তু অভাবের সময়, কিছু একটা করে খেতে হবে। তাই আসানসোলের এক রুটির কারখানায় কাজে যোগ দেন । বেতন মাসিক 5 টাকা । জ্ঞানের খিদে তখনও মরে যায় নি ।   কাজের ফাঁকেই বিভিন্য বয় পড়া থেকে শুরু করে কবিতা,গজল, গান ইত্যাদি লেখার কাজ চালিয়ে যেতেন ।
তার অসাধারন প্রতিভাই মুগ্ধ হয়ে সেখানকার পুলিশ ইন্সপেক্টর সঙ্গে নিয়ে আসেন এবং ময়মনসিং জেলার দরিরামপুর স্কুলে ভর্তি করে দেন । পরে তিনি বন্ধুদের টানে আবার রানীগঞ্জের শিয়ানসোল রাজ স্কুলে ভর্তি হন ।

IN BRITISH ARMY

                             তারপর শুরু হয় বিশ্ব যুদ্ধ । তখন তিনি দশম শ্রেণীর ছাত্র । যুদ্ধের কারণে আর লেখাপড়া হলো না । যোগ দেন সেনা বাহিনীতে । 49 নম্বর বাঙালি পল্টন রেজিমেন্টের হাবিলদার পদে প্রমোশন লাভ করেন । সৈনিক জীবনে চলে যেতে হয় পাকিস্তানের করাচি তে, সঙ্গে যায় কবিতা ও সাহিত্য চর্চার ক্ষিদে । সেখানে এক পাঞ্জাবি মৌলবীর সাথে পরিচয় হলে তার কাছে ফার্সি ভাষা শিখতে থাকেন এবং মহা কবি হাফিজ, শেখ সাদি প্রমুখ বিশ্ব বিখ্যাত কবিতাকে লেখা পড়েন । তারপরেই গল্প, কবিতা,উপন্যাস,হামদ,গজল , নাত লেখায় ডুবে যেতে থাকেন । কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভের তেমন সুযোগ না পেলেও তিনি হাল ছাড়েন নি , সাহিত্য চর্চা চালিয়ে যান ।

                         যুদ্ধ থেমে গেলে 1919 সালে এপ্রিল মাসে পল্টন রেজিমেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর তিনি ফিরে আসেন নিজ মাতৃভূমি চুরুলিয়া গ্রামে । এরপর শুরু হয় তার একনিষ্ঠ কাব্যচর্চা । তার লেখা একাধারে 'দৈনিক বসুমতী' 'মুসলিম ভারত' 'মাসিক প্রবাসী' 'ধুমকেতু' প্রভৃতি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছাপা হতে থাকে । নজরুলের কবিতা তদানীন্তন রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছিল ।  ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে নিপীড়িত,নির্যাতিত,শোষিত ও বঞ্চিত মানুষদের জাগরণের তিনি ছিলেন মহান প্রবক্তা । 1921 সালে মাত্র 22 বছর বয়সে তিনি রচনা করেন তাঁর বিখ্যাত অমর কবিতা 'বিদ্রহি' বাংলা সাহিত্যে তাকে বিদ্রোহী কবি হিসেবে অমর করে রেখেছে ।

" বল বীর 
বল চির উন্নত মম শির 
শির নেহারি নত শির ওই 
শিখর হিমাদ্রির । "

                    দেশ প্রেমিক কাজী নজরুল ইসলাম ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে তার কলমকে অস্ত্র ও বুলেট হিসেবে ব্যবহার শুরু করলেন । ইতিমধ্যে সমগ্র দেশে শুরু হয়েছে ব্রিটিশ বিরোধী তুমুল আন্দোলন । কাজী নজরুল ইসলাম 'সাপ্তাহিক ধুমকেতু' পত্রিকায় লিখতে লাগলেন ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে । অন্যায়,অবিচার, অসাম্য ও অসত্যের বিরুদ্ধে তিনি লেখনীর মাধ্যমে শুরু করলেন প্রচন্ড বিদ্রোহ । তিনি মুসলিম জাতিকে তাদের অতীতের ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করিয়ে শুনিয়েছেন জাগরণের বাণী । তিনি দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন পরাধীনতার শৃংখল ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য । 1793 খ্রিস্টাব্দে লর্ড কর্নওয়ালিশের প্রবর্তিত "চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের" মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী এদেশের বিশেষ করে মুসলমান কৃষকদের ক্রমান্বয়ে নিঃস্ব করে ফেলেছিল । মুসলমান কৃষকরা তাদের জায়গা-জমি ও বাড়িঘর সব কিছু হারিয়ে প্রায় পথে বসেছিল । কবি কাজী নজরুল ইসলাম ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসক চক্রের বিরুদ্ধে এদেশের কৃষক সমাজকে বিদ্রোহ করার আহ্বান জানান । তিনি 'সর্বহারা' কাব্য গ্রন্থের 'কৃষাণের' গান নামক কবিতায় লিখেছেন---
  " চল চল চল !
ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল, 
নিম্নে উতলা ধরণী-তল, 
অরুণ পাতে তরুণ দল 
চল-রে চল-রে চল ।
চল চল চল  ।। "

                           বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার এই কবিতাটিকে রণসংগীতের মর্যাদা দান করেছেন । পরাধীনতার শৃংখল মুক্ত জাতির জীবনে অন্যায়,অবিচার ও অত্যাচার নির্মূল করার ব্যাপারে তার অবদান চির অম্লান । কবি কাজী নজরুল ইসলাম বহু হামদ,নাত,গজল,আধুনিক গান,ইসলামী গান,গল্প,কবিতা,সাহিত্য ও উপন্যাস রচনা করেন ।এসকল বিষয়ে তাঁর রচনার সংখ্যা কয়েক সহস্র ।
তাঁর রচনাবলির মধ্যে অগ্নিবীণা,বিষের বাঁশি,দোলন চাঁপা চক্রান্ত,প্রলয় শিখা, ভাঙার গান, নতুন চাঁদ, ফনিমনসা, রিক্তের বেদন, মৃত্যুক্ষুধা, সাম্যবাদী,সর্বহারা,সিন্ধু-হিন্দোল, রাজবন্দীর জবানবন্দী প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশ "নজরুল ইন্সটিটিউট" নামে একটি প্রতিষ্ঠান তার লেখার ওপর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে । তিনি ফার্সি ভাষার মহাকবি হাফিজের কতগুলো কবিতার বাংলা অনুবাদ করেছেন । কবি কাজী নজরুল ইসলামের অধিকাংশ কবিতা ও সাহিত্য রুশ ভাষায় অনূদিত হয়েছে । ইংরেজি ভাষায় তাঁর লেখার অনুবাদ হয়েছে এবং হচ্ছে । 1945 সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কবি জগত্তারিণী পুরস্কার প্রাপ্ত হন । 1960 সালে ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত হন । 1970 সালে বিশ্বভারতি কবিকে 'ডিলিট' উপাধি দিয়ে সম্মানিত করে । 1973 সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ডিলিট' উপাধি লাভ করেন । 1975 সালে 'একুশে পদক' প্রদান করা হয় ।

                                 আধুনিক বাংলা কাব্য সাহিত্যে মুসলিম সাধনার সবচেয়ে বড় প্রেরণা হলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম । তাঁর আবির্ভাবে মুসলিম স্বতন্ত্র কাব্য সাধনার দিগন্তে নবোদিত সূর্যের মহিমা বিচ্ছুরিত হয়েছে । ইসলামী বিভিন্ন বিষয় গুলোকে তিনিই প্রথমবার সত্যিকারের সাহিত্যের রূপ দিয়েছিলেন ।কাজী নজরুল ইসলাম ছাড়াও প্রবীণদের মধ্যে মীর মশাররফ হোসেন, মহাকবি কায়কোবাদ, কবি গোলাম মোস্তফা, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং নবীনদের মধ্যে কবি ফররুক আহমেদ, সৈয়দ আলী আহসান তালিমহোসেন,কাদির নেওয়াজ মুসলিম স্বাতন্ত্র্যবোধের বাণী উচ্চারণ করেছিলেন । কিন্তু সে বানি নজরুল ইসলামের নাই বজ্রকন্ঠ ছিল না,ছিল অর্ধচ্ছারিত । নজরুল কাব্যে ইসলামী ও মুসলিম ঐতিহ্য বলিষ্ঠ ব্যঞ্জনায় মূর্ত হয়ে উঠেছে । নজরুল ছিলেন মুসলিম পুনর্জাগরনের কবি এবং স্বাধীনতা চেতনার প্রতীক । বাংলা ভাষায় আরবি,ফারসি শব্দের সার্থক ব্যবহার, ইসলামি আদর্শ এবং মুসলিম ঐতিহ্যের রূপায়নে নজরুল ইসলামের অবদান অবিস্মরণীয় ।

                   তিনি 'খেয়াপারের তরণী' কবিতায় লিখেছেন --

"আবু বকর, উসমান, উমর আলী হায়দার,
দাঁড়ি যে এ তরণীর, নাই ওরে নাই ডর ।
 কান্ডারি এ তরীর পাকা মাঝি-মাল্লা,
দাঁড়ি মুখে সারি গান লা-শরীক আল্লাহ" ।

                        কারবালার মর্মান্তিক বিয়োগান্ত ঘটনা কবি কাজী নজরুল ইসলাম কি সুন্দর ভাবে তার কাব্যে ফুটিয়ে তুলেছেন ---

"নীল সিয়া আসমান লালে লাল দুনিয়া ।
আম্মা ! লাল তেরি খুনকিয়া খনিয়া
কাঁদেকোন্ ক্রন্দসী কারবালা ফোরাতে
সে কাঁদনে আসু আনে সীমারের ছোরাতে। "

                       ইসলামী আদর্শ ও মুসলিম জাতির স্বরূপ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি লিখেছেন---

" ধর্মের পথে শহীদ যাহারা, আমরা সেই সে জাতি ।
 সাম্য মৈত্রী এনেছি আমরা বিশ্বের করেছি জ্ঞাতি
আমরা সেই সে জাতি ।।"

                          কাজী নজরুল ইসলামের আল্লাহর প্রতি ছিল অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস । মানুষের প্রতি আল্লাহ পাকের অশেষ নেয়ামতের শুকরিয়া জ্ঞাপন করে তিনি লিখেছেন ---

"এই সুন্দর ফুল সুন্দর মিঠা নদীর পানি 
খোদা তোমার মেহের বানী ।।
এই শস্য-শ্যামল ফসল ভরা মাটির ডালিখানি
খোদা তোমার মেহের বানী ।।
তুমি কতই দিলে মানিক রতন,ভাই বেরাদর পুত্র স্বজন
ক্ষুদা পেলে অন্ন জোগাও মানি না মানি
খোদা তোমার মেহের বানী । "

                                তিনি ইসলামের মৌলিক ইবাদত ও বিধানকেও বাংলা কাব্যে যথাযথভাবে প্রয়োগ করেছেন । তিনি লিখেছেন----

" মসজিদে ঐ শোন রে আজান, চল নামাজে চল,
দুঃখে পাবি সান্তনা তুই বক্ষে পাবি বল।
ওরে চল নামাজে চল ।
 তুই হাজার কাজের আছিলাতে নামাজ করিস কাজা,
খাজনা তারি দিলি না ,যে দিনি দুনিয়ার রাজা ।
তারে পাঁচবার তুই করবি মনে, তাতেও এত ছল
ওরে চল নামাজে চল ।"

                                  এমনিভাবে কবি নজরুল ইসলাম তাঁর কাব্যে মুসলিম স্বাতন্ত্র্যবোধ সৃষ্টি করেছেন । তার প্রতিটি ইসলামিক গান,গজল,হামদ ও নাত প্রায় প্রত্যেক বাঙালী মুসলমানের মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে এবং বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান,ওয়াজ মাহফিল ও মিলাদ মাহফিলে কবির লেখা হামদ নাত ও গজল পঠিত হচ্ছে ।

                                    1942 সালে কবি কাজী নজরুল ইসলাম এক দুরূহ ব্যাধিতে আক্রান্ত হন এবং চিরদিনের জন্য বাকশক্তি  হারিয়ে ফেলেন । তাকে সুস্থ করে তোলার জন্য দেশের সকল প্রকার চিকিৎসা ব্যর্থ হওয়ার পর 1953 সালে সুচিকিৎসার জন্য সরকারি ব্যবস্থা নিয়ে লন্ডনে পাঠানো হয় । কিন্তু সেখানেও কবিকে রোগ মুক্ত করা সম্ভব হয়নি ।

HIS ILLNESS

                                    তারপর 1972 সালের তাকে বিদেশ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় নিয়ে আসা হয় এবং ঢাকার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । দীর্ঘদিন অসুস্থতার পর 1976 সালের 29 আগস্ট এই বিখ্যাত মনীষী পিজি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন । তিনি তার একটি ইসলামী সংগীতে বলে যান, তাকে মসজিদের পাশে কবর দেওয়ার জন্য । যেন কবরে শুয়ে মোয়াজ্জেমের মধুর আযানের ধ্বনি শুনতে পান ।

                              তিনি লিখেছেন --


"মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিও ভাই ।
যেন গোরে থেকেও মুয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই ।।



 আমার গোরের পাশ দিয়ে ভাই নামাজীরা যাবে,

পবিত্র সেই পায়ের ধ্বনি এ বান্দা শুনতে পাবে ।
গোর-আযাব থেকে এ গুনাহগার পাইবে রেহাই ।।"


                     তার সেই অছিয়ত অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন উত্তর পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কবিকে সমাহিত করা হয় । মসজিদের পাশে কব আজ চিরনিদ্রায় শায়িত । প্রতিদিন প্রায় অসংখ্য মানুষ নামজান্তে কবির মাজার জিয়ারত করছে ।আজ কবি পৃথিবীতে নেই, কিন্তু বাংলা কাব্যে কবি ইসলামী ভাবধারা মুসলিম স্বতন্ত্রবোধ সৃষ্টিতে অবদান রেখে গেছেন । প্রতিটি শিক্ষিত বাঙালি মুসলমানের হৃদয়ে কবি অমর হয়ে থাকবেন ।


CRETID-- GOOGLE,WIKI,ETC..


No comments:

Post a Comment